লাইফস্টাইল
মেজাজ খিটখিটে, ক্লান্তি এগুলো কিসের লক্ষণ?

আধুনিক জীবনের দৌড়ঝাঁপ, কাজের অবিরাম চাপ, সম্পর্ক–ক্যারিয়ারের টানাপোড়েনে অনেকেই রাতের পর রাত নির্ঘুম, দিনের পর দিন ক্লান্ত, আর মেজাজ যেন ছোট্ট আগুনের মতো সবসময় জ্বলে থাকে।
এসব দেখে অনেকেই ভাবেন সবটাই মানসিক চাপের ফল। কিন্তু সত্যিই কি বিষয়টা এত সহজ? এই সব উপসর্গ চুপচাপ ইঙ্গিত দেয় এক লুকোনো বিপদের দিকে যে বিপদকে অবহেলা করলে কালই হতে পারে দেরি। কারণ অনেক সময় এই নীরব কষ্টের আড়ালে লুকিয়ে থাকে থাইরয়েডের মতো গুরুতর রোগ, যা ধীরে ধীরে শরীরকে ভেতর থেকে গ্রাস করতে থাকে।
এদিকে ডায়াবেটিসের মতো থাইরয়েডের অসুখও এখন দ্রুত বাড়ছে। থাইরয়েড গ্রন্থি যে হরমোন তৈরি করে, তা শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেই শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শুরুতে এগুলো বোঝা কঠিন, কারণ একই লক্ষণ অন্য কারণেও দেখা দিতে পারে।
তাই শরীরে ছোটখাটো পরিবর্তন হলেই সতর্ক হওয়া জরুরি। চলুন, জেনে নিই কোন লক্ষণগুলো অবহেলা করা ঠিক নয়।
হঠাৎ মেজাজ বদল
হঠাৎ খিটখিটে স্বভাব, কথা বলতে বলতে রেগে যাওয়া; এগুলো দীর্ঘদিন চলতে থাকলে থাইরয়েডের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
বিশ্রামের পরেও ক্লান্তি
পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যদি ক্লান্তি না কাটে, একটু কাজেই হাঁপ ধরে—তাহলে থাইরয়েড পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।
ওজন কমা বা বাড়া
ডায়েট না করেও হঠাৎ ওজন কমা বা বেড়ে যাওয়া থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অনেক চুল পড়া
হঠাৎ গুচ্ছ গুচ্ছ চুল ওঠা, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া; এগুলোও থাইরয়েডের সমস্যার সাধারণ লক্ষণ।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব (মহিলাদের ক্ষেত্রে)
ঋতুস্রাবের অনিয়ম, চুল পড়া, ওজনের পরিবর্তন; সবকিছু একসঙ্গে হলে অবশ্যই থাইরয়েডের পরীক্ষা করানো উচিত।
গলার স্বরের পরিবর্তন
বয়সন্ধীকে বাদ দিলে হঠাৎ গলা ভেঙে যাওয়া, স্বর পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা লাগা—এসবই সতর্কতার লক্ষণ।
শরীরের এসকল ছোট উপসর্গগুলোকে অবহেলা না করে, প্রয়োজন হলে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়াই এবং সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ।
আজকাল/০৬ ডিসেম্বর ২৫/ডব্লিউপি
শেয়ার
Releted News
বিজ্ঞাপন কর্নার।






