সারা বিশ্ব
গাজায় নিহত ৫১ হাজার ছাড়াল

গাজায় মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর হামলায় কমপক্ষে ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
এদিকে নির্বিচার হামলার মধ্যেই জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। দখলদারদের যুদ্ধবিরতির নতুন এ প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই থেকেই গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ জন। পুরো গাজা মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৭ জন নিহত ও ৬৯ জন আহত হয়েছেন। গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নতুন করে হামলা শুরুর পর গাজায় ১ হাজার ৬৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৩০২ জন।
গাজা নগরীর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারের বেশি মরদেহ পড়ে আছে। ভারী উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকা এবং রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ও অব্যাহত হামলার কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে না পারায় এসব দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে ১১ জিম্মির মুক্তির বিনিমিয়ে গাজায় ৪৫ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনায় হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে সংগঠনটি। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানানো হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যেতে হামাস এখনো তাদের মূল দাবিতে অটল রয়েছে। হামাসের দাবি, গাজায় যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ হতে হবে এবং সেখান থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
এর আগে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলকে শত্রুতা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে, হামাসের এই দাবি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে পূরণ হয়নি। আল জাজিরা